এক মন ধানের দাম কত ২০২৪

বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায় সমিতি নতুন করে ধানের ধাম নির্ধারন করেছে ২০২৪ সালের জন্য। বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ হলেও  মাসের পর মাস চাল ও ধানের দাম বেড়েই চলেছে। স্থানীয় কৃষকেরা জানান আগের তুলনায় অনেক পরিমাণে উৎপাদন খরচ বেড়েছে ধান চাষে। অধিক পরিমাণে উৎপাদন খরচ দিয়েও পরিমাণ মতো ফলন পাচ্ছে না কৃষকেরা। তাই তাদের মতে ধানের দাম বৃদ্ধি করার প্রবণতা রয়েছে।

বাজারে নতুন ধান চলে এসেছে, তবুও প্রতি মন ধানে ২০০ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে। ধানের দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে জানা যায় জমিতে বাড়তি ফলন পেতে কীটনাশক, ভিটামিন ও পরিচর্যা খরচ রয়েছে। এদিকে এদিকে ধান চাষে ব্যবহিত জৈব ও অজৈব্য সারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সব মিলিয়ে ধান উৎপাদন খরচ অনেক বেড়েছে। আজকে আমি আপনাদের কে জানাবো বাংলাদেশে ধানের দাম কত? এবং এক মন ধান কত টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এবং প্রতি বস্তা ধানের কত টাকা মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

আজকের ধানের দাম কত

বাংলাদেশে প্রতি মওসুমে ভিন্ন ভিন্ন জাতের ধান উৎপাদন করা হয়। কয়কটি উল্লেখযোগ্য ধানের জাত হলো বিআর১ (চান্দিনা), বিআর২ (মালা), বিআর১৯ (মঙ্গল), বিআর২২ (কিরণ), চাপালি, উনত্রিশ, আটাশ, বোরো ইত্যাদি। আরও এই রকম অনেক জাত রয়েছে যেগুলো উচ্চফলনশিল হয়ে থাকে। জাতের উপর নির্ভর করে চাল খাত, মোটা, লম্বা এবং চিকন হয়ে থাকে। আগের সময়ে এক মন ধান ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় কিনতে পাওয়া যেতো। ২০২২ সালের শুরুতে ধানের দাম ছিলো ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকার মধ্যে। এই দাম আগস্ট, সেপ্টেম্বর পর্যন্তও ছিলো। আশা করা যাচ্ছিলো বাজারে নতুন ধান আসলে ধানের দাম অনেকটা কমবে। কিন্তু টা না হয়ে প্রতি মন ধানে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। মোটা চালের (সিদ্ধ) পাইকারী মূল্য প্রতি কেজি ৪২ থেকে ৪৮ টাকা।

আজকের ধানের দাম কত ২০২৪

আবারো বেড়েই চলেছে ধানের বাজার। এই নতুন মৌসুমে বাজারে বিভিন্ন জাতের নতুন ধান তোলা হয়েছে। তাতেও যেনো ধানের দাম কমছে না। প্রতি মন ধানে ২০০ টাকার মতো বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি মন ধানের দাম ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা। কিছু জাতের ধানের ধাম ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকা। ২০২৪ সালে ধানের দাম কোমার পরিবর্তে বেড়েছে। আগের সময়ে ধানের দাম ছিলো ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা এবং ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা।

এক মন ধানের দাম কত

বাংলাদেশে এক মন ধানে ১০০ থেকে ২০০ টাকা হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৯- ২০ সালে ধানের দাম ছিলো ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা মন। ২০২১ সালে এক মন ধানের দাম ছিলো ৯০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে। ২২ এর শেসের দিকে নতুন ধান বাজারে আসা স্বত্বেও ধানের দাম একটু কমেনি। বরং বস্তা প্রতি ধানে আরও ২০০ টাকার মতো বৃদ্ধি পেয়েছে। উন্নতমানের এক মন ধানের দাম ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা। পোলাও বা বিরিয়ানি রান্নার চালের দাম ২০০০ থেকে ২২০০ টাকা করে হয়েছে। উন্নতমানের ধানের দাম আরও ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে চিকন ধানে।

কালিজিরা ধানের দাম কত

কালিজিরা ধান সুগন্ধি চাল পাওয়া যায়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিরিয়ানি, পোলাও রান্নার জন্য এই উন্নতমানের চাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। একে এই ধানের চাল থেকে বাস মতি চাল উৎপন্ন করা হয়। যেখানে এক কেজি সাধারণ চালের দাম যেখানে ৪৫-৫০ টাকা সেখানে এক কেজি সরু ও সুগন্ধি চালের দাম ৮০-১২০ টাকা। তাহলে বুঝতেই পারতেছেন এর দানের দাম সাধারণ ধান থেকে কত টা বেশি হতে পারে। কালিজিরা এক মন ধানের দাম ৩০০ও থেকে ৩২০০ টাকা। এবং উন্নতমানের সুগন্ধি যুক্ত ধানের দাম ৩৪০০ থেকে ৩৬০০ টাকা মন।

এক বস্তা ধানের দাম কত

ধানের দাম জাতের উপর নির্ভর করবে। এবং বস্তার হিসেবে ২৫ কেজি বা ৫০ কেজি ধানের বস্তা পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি বস্তা ধানের দাম ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা। কিছু ধানের বস্তার দাম ১৬০০ টাকা পর্যন্ত। ২৫ কেজি ধানের বস্তার দাম ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। কালিজিরা ধানের বস্তার দাম ৩৬০০ টাকা। তবে ৩৪০০ টাকার মধ্যে এক বস্তা কালিজিরা ধান পাওয়া যাবে।

আটাশ ধানের দাম কত

আটাশ ধানের চাল থেকে চিকন চাল পাওয়া যায়। তবে এই চাল দিয়ে শুধু ভাত রান্না করা হয়। সাধারণ আটাশ চালের দাম ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা। এক মন  উন্নতমানের আটাশ চালের দাম ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা। কিছু কিছু সময় ১৪০০ টাকায় এই আটাশ ধান বিক্রি করা হয়। ধানের দাম যেমন বেশি, তেমনি আটাশ চালের বস্তার দাম অনেক বেশি।

ধানের বীজের দাম কত

সকল ধানের দোকানে বেসন জাত বা বীজ উৎপাদনকারী ধান বিক্রি করা হয়। ব্রি ধান২৭, ব্রি ধান২৮, ব্রি হাইব্রিড ধান৭, ব্রি ধান১০২ এই রকম আরও জাতের ধানের বীজ রয়েছে। মোতা ধানের বীজ, চিকন ধানের বীজ ইত্যাদি। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আটাশ, উনত্রিশ জাতের বীজ বেশি বিক্রি করা হয়। প্রতি বস্তা ধানের বীজের দাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। উন্নতফলনশীল বীজের দাম ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। তবে যেকোনো সময় এর দাম পরিবর্তিত হতে পারে।

ধানের উৎপাদন এবং খরচ

গত বোরো মৌসুমে ৬ লাখ ৫০ হাজার টন ধান এবং ১২ লাখ ৩৫ হাজার টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। গত বছরের তুলনায় চলতি ২০২২ সালে বোরো সংগ্রহ মৌসুমে প্রায় ৮৫ হাজার টন কমানো হয়েছে। সব মিলিয়ে চালের আকারে প্রায় ১৩ লাখ ৮১ হাজার ৫৫২ টন সংগ্রহ করেছিল খাদ্য অধিদপ্তর। নতুন উদ্ভাবিত দুটি জাত ব্রি ৮৯ ও ব্রি ৯২ বোরো ধানের উৎপাদন সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এ প্রজাতির উৎপাদন বেশি হবে। এর সাথে চাল সরু হবে।এবং ধানের ফলন অনেকটা বেশি হবে।

শেষ কথা

ধান শস্য জাতীয় ফসল। এর উৎপাদন হারের এবং খরচের উপর দাম নির্ভর করে। উৎপাদন খরচ কমে গেলে বাজারে ধানের দাম অনেক কমানো হবে। সময়ের উপর ভিত্তি করে যেকোনো সময় ধানের দাম আমার দেওয়া দাম থেকে কম বা বেশি হতে পারে। এই পোস্টে বিভিন্ন ধানের বাজার দর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আজকের ধানের দাম কত এবং ধানের দাম কটা টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে এসব তথ্য জানতে পেরেছেন। বাজার দর নিয়ে এই রকম ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমার সাথেই থাকবেন। নিত্য নতুন বাজার দর সম্পর্কে আপডেট তথ্য এই ওয়েবসাইটে শেয়ার করে থাকি। তাই আমার সাথেই থাকবেন। ধন্যবাদ।

About Foysal Ahmed

আমি মোঃ ফয়সাল আহমেদ। দীর্ঘদিন যাবত আমি অনলাইন কাজের সাথে জড়িত। আজকের দাম কত সাইটে আমি আমাদের দৈনন্দিন নিত্য প্রয়োজনীয় সকল প্রকার পণ্যের দাম নিয়ে আলোচনা করে থাকি। আশা করি আমাদের সাইট থেকে প্রায় সকল ধরনের জিনিসের দাম সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন।

View all posts by Foysal Ahmed →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *