এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন কত ২০২৪

শিক্ষক এমন একজন ব্যক্তিত্ব, যিনি বিশ্বসভ্যতার কারিগর। একজন সন্তানকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করেন একজন শিক্ষক। শিক্ষকের তুলনা কারো সাথে চলেনা। জন্মদাতা মাতা পিতা পরই একজন শিক্ষকের স্থান। তাই আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদের মাঝে এমন একজন ব্যক্তিত্বকে নিয়ে আলোচনা করব যে আমাদের সকলের গুরু এবং ওস্তাদ হিসেবে পরিচিত। এবং আরো নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করব তা হল একজন শিক্ষক নিয়ে নানাবিধ তথ্য এবং একজন শিক্ষক কত টাকা সম্মানি পায় এবং একজন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন কত, তা নিয়ে প্রতিবেদনে বিস্তারিত আলোচনা করব।

আপনারা ইতিমধ্যেই সকলেই জানেন একজন শিক্ষকের সম্বন্ধে। কিন্তু হয়তো অনেকেই জানেন না একজন সম্মানিত শিক্ষক কত টাকা সম্মানিত পেয়ে থাকে। এটা জানার সকলেরই আগ্রহ থাকে। কারণ আমরা হয়তো অনেকেই কানাঘুষা করে থাকি যে একজন এমপিও ভুক্ত শিক্ষকের বেতন মনে করি পাহাড় সমান। কিন্তু আসলে সকলের ভুল ধারনা। তাই যারা এখনো শিক্ষকদের সম্মানের সম্পর্কে ঠিক তথ্য জানেন না তারা অবশ্যই আজকের এই প্রতিবেদনটি সম্পন্ন পড়ে একজন শিক্ষকের বেতন কত এবং শিক্ষকদের নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জেনে রাখুন।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন কত

আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদের মাঝে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন নিয়ে আলোচনা করব। সরকারিভাবে যেহেতু বিভিন্ন ধরনের বেতন স্কেল এবং চাকরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের শ্রেণীবিন্যাস রয়েছে। সেহেতু একজন এমপিওভুক্ত শিক্ষকের বেতন গ্রেড নবমতম। তবে যোগ্যতা এবং পদ অনুযায়ী বেতন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। নতুন যে বেতন স্কেল প্রদান করা হয়েছে সেখানে এমপিওভুক্ত কলেজের একজন অধ্যক্ষের বেতন হবে প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা। এবং যারা সহকারী অধ্যক্ষ আছে তাদের বেতন হবে ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা যেটা ষষ্ঠ গ্রেডের বেতন। এছাড়া যারা সাবজেক্ট অনুযায়ী এবং প্রভাষক হিসেবে আছেন তাদের সর্বনিম্ন বেতন ২২ হাজার টাকা। প্রত্যেকটা এমপিওভুক্ত শিক্ষকের বেতনের সাথে নানা ধরনের ভাতা যুক্ত হয়ে থাকে।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন কত ২০২৪

যদিও বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি হয় এবং সরকারি ভাবে তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। এছাড়াও সিনিয়র শিক্ষকদের পদোন্নতি হয় এবং পদোন্নতি বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার বেতন গ্রেড উন্নত হয় এবং তিনি নতুন গ্রেডে বেতন পান। আগামী মার্চ মাস থেকেই সারাদেশের এমপিওভুক্ত ৫ লাখ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী নতুন স্কেলে বর্ধিত বেতন পাবেন। অর্থ বিভাগ তাদের বেতন-ভাতা চূড়ান্ত করেছে। ফেব্রুয়ারি মাসের বেতনের সঙ্গে বর্ধিত বেতন সমন্বয় করা হবে। গত জুলাই থেকেই এটি কার্যকর হচ্ছে। যারা সরকারিভাবে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছে তারা এই বিষয়ে আরো ভালো ধারণা রাখতে পারে।

এমপিওভুক্ত হাইস্কুলের শিক্ষকদের বেতন কত

যারা হাই স্কুলএ শিক্ষক হিসেবে কর্মরত যে সাধারণত তারা দশম গ্রেডের বেতন পেয়ে থাকেন। তারা সাধারণত দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত এবং জাতীয় বেতন স্কেল এবং গ্রেট অনুসারে তাদের বেতন সর্বনিম্ন ১৬ হাজার টাকা। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এবং বিভিন্ন ইনক্রিমেন্টের মাধ্যমে বেতন স্কেল পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি কর হয় এবং যারা সহকারী শিক্ষক হিসেবে হাই স্কুলে কর্মরত আছে তাদের বেতন কেল ১১ তম গ্রেডে বেতন প্রদান করা হয়। তাদের সর্বনিম্ন বেতন ১২০০০ টাকা, এবং সর্বোচ্চ বেতন ৩২ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা এবং বিভিন্ন উৎসব ভাতা এবং কি নানা ধরনের ভাতা পেয়ে থাকেন।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকের নিয়োগ শর্তাবলী

বাংলাদেশে অসংখ্য এমপিও ভুক্ত স্কুল এবং কলেজ রয়েছে। যেখানে প্রতি বছরে প্রায় এম্পিভুক্ত শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করা হয়। অনেকের স্বপ্ন থাকে যে বড় ধরনের ডিগ্রি অর্জন করে শিক্ষকতা পেশা হিসেবে বেছে নিবে। কারণ একজন শিক্ষকের মর্যাদা রয়েছে অনেক। এমবি ভুগতে শিক্ষকের নিয়োগ শর্তাবলির ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শর্তাবলী ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে এ বিভক্ত শিক্ষকের নিয়োগ শর্তাবলির ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক যদি আবেদন করতে চায় তাহলে তার নীতিমালা ২০২১ এর ১১ এবং ১২ ধারায়বসর্বোচ্চ ৩৫ বছর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে। তবে সমপদে বা উচ্চতর পদে (প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারী প্রধান) নিয়োগের ক্ষেত্রে ইনডেক্সধারীদের জন্য বয়সসীমা শিথিলযোগ্য।

এছাড়াও একজন এমপিভক্ত শিক্ষক নিয়োগ শর্তাবলির ক্ষেত্রে, অবশ্যই উচ্চতা ডিগ্রী এবং স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের চুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান প্রধানের বয়স সরকারের আর্থিক সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও কোনোক্রমেই ৬৫ বছরের বেশি হতে পারবে না। প্রতিষ্ঠানের প্রধান পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিধানে তা বলা হয়েছে।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকের বেতন নির্ধারণ

যদিও বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মন্ডলীগণ সরকারের ভাবে পরিচালিত হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার সকল শিক্ষকদের বিভিন্ন বিভিন্ন বেতন স্কেলে বেতন নির্ধারণ করে থাকে। বাংলাদেশের সকল সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেই ১ থেকে ২০ তম গেট পর্যন্ত বেতন স্কেল নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে আবার কয়েকটি শ্রেণীর বিন্যাসের মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন প্রদান করা হয়। একজন এমপিওভুক্ত শিক্ষকের বেতন স্কেল নবম দশম এবং ১১ তম গ্রেডের হয়ে থাকে।

একজন এমপিও ভুক্ত নিম্ন মাধ্যমিক/মাধ্যমিক/উচ্চ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক নতুন যোগদানকালে ১২৫০০ মূল বেতন পেয়ে থাকেন। (সরকারি অংশ+বেসরকারি অংশ), বাড়ি ভাড়া ভাতা ১০০০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা পেয়ে থাকেন। সেদিক থেকে হিসাব করলে ১২৫০০+১০০০+৫০০ = ১৪০০০ টাকা মাত্র বেতন ভাতা পেয়ে থাকেন।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকের বেতন সুবিধা

এমবিভক্ত সকল শিক্ষকদের তাদের বেতনের পাশাপাশি তাদেরকে নানা ধরনের সরকারিভাবে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। বেতনের পাশাপাশি দেওয়া হয় যাতায়াতের সুবিধা বাড়িভাড়া এবং চিকিৎসা সুবিধা। এছাড়াও রয়েছে তাদের শিক্ষকতা জীবন শেষ হলে তাদেরকে মোটা অংকের একটা পেনশন। পাশাপাশিএকজন অফিস সহায়ক এমপিওভূক্ত হওয়ার পর প্রতিমাসের বেতন হতে কল্যাণট্রাস্টে একটি অর্থ কর্তন করে থাকেন। চাকরির ১০ বছর পূর্ণ হলে ৫,২৮,১৫০ টাকা কল্যাণ সুবিধা এবং ১০,১৪,৬৫০ টাকা অবসরকালীন সুবিধা পেয়ে থাকে।

এমপিও ভুক্ত শিক্ষকের সর্বশেষ আপডেট

বেসরকারি কলেজগুলোর অনার্স-মাস্টার্স স্তরের প্রায় সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষক দীর্ঘ আন্দোলনের পরও এমপিওভুক্ত হতে পারেননি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এসব শিক্ষকদের এমপি ভুক্ত ব্যর্থ হয়েছেন। গত ১২ জন বাংলাদেশের সকল অনার্স এবং মাস্টার স্তরের শিক্ষক মন্ডলীগণ শিক্ষা মন্ত্রীর সাথে দেখা করে অনুরোধ জানান। কিন্তু অর্থ বিভাগ ছাড় না দেওয়ায় শিক্ষামন্ত্রী কোন কিছু করতে পারছেন না। কিন্তু কবে নাগাদ এই সমস্যার সমাধান হবে তা নিশ্চিত করতে পারছেন না শিক্ষামন্ত্রী।

আমাদের শেষ কথা

আজকের এই সুন্দরতম প্রতিবেদনে আপনাদেরকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন কত এবংএমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নিয়ে বিভিন্ন তথ্য ও তাদের নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভাতা সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি যারা শিক্ষকদের সম্বন্ধে অজানা ছিল তারা অবশ্যই আমাদের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে সকল তথ্য জানতে পেরেছেন। আমাদের এ প্রতিবেদন যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই সকলের মাঝে শেয়ার করে অন্যদেরকেও সঠিক তথ্য জানার সুযোগ করে দিন। এবং যেকোনো ধরনের সরকারি প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে আমাদেরকে কমেন্ট করতে পারেন, ধন্যবাদ।

About Foysal Ahmed

আমি মোঃ ফয়সাল আহমেদ। দীর্ঘদিন যাবত আমি অনলাইন কাজের সাথে জড়িত। আজকের দাম কত সাইটে আমি আমাদের দৈনন্দিন নিত্য প্রয়োজনীয় সকল প্রকার পণ্যের দাম নিয়ে আলোচনা করে থাকি। আশা করি আমাদের সাইট থেকে প্রায় সকল ধরনের জিনিসের দাম সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন।

View all posts by Foysal Ahmed →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *