ইন্ডাকশন চুলার দাম কত ২০২৪

রান্নার কাজে বিভিন্ন চুলার থেকে ইন্ডাকশন চুলার ব্যবহারে অনেক সুবিধা বিধায় বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই ইন্ডাকশন চুলা। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে এর দাম তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। এবং ব্যবহারের তুলনামূলক অনেক সহজ এবং ঝুঁকিহীন। ব্যবহার যেমন সহজ তেমনি বিদ্যুৎ খরচ অনেকটাই সাশ্রয়ী। ইন্ডাকশন চুলা ব্যবহারে আপনি ভোল্টেজ কমিয়ে বাড়িয়ে ব্যবহার করতে পারবেন।

এই ইন্ডাকশন চুলা ব্যবহারে সবথেকে বড় সুবিধার বিষয় হচ্ছে এই চুলা ব্যবহারে কোনরকম আগুন লাগার সম্ভাবনা নেই। আর যে কেউ চাইলে এই ইন্ডাকশন চুলা ক্রয় করতে পারেন। চলুন জেনে নেই ইন্ডাকশন চুলার দাম কত ।

ইন্ডাকশন চুলা অন্যান্য চুলার থেকে বেশি ব্যবহার হওয়ার কারণ হচ্ছে,এর বিদ্যুৎ খরচ অনেকটা কম। অর্থাৎ বাংলাদেশের বাজারে ইন্ডাকশন চুলার পাশাপাশি অনেক চুলা পাওয়া যায় যেমন গ্যাসীয় চুলা। যেখানে চুলা ব্যবহার করতে গ্যাসের সিলিন্ডার ক্রয় করতে হয়। এবং এই সিলিন্ডার ক্রয় করাটা অনেক ব্যয়বহুল। তো অনেকেই গ্যাসের চুলা  কিনতে পারলেও গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে অনেকের সমস্যা হয়ে যায়।

এছাড়া বিভিন্ন যাবতীয় সমস্যা থেকে বেঁচে থাকার জন্য অনেকে ইন্ডাকশন চুলা ক্রয় করে থাকেন। তবে আপনি বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির ইন্ডাকশন চুলা পেয়ে যাবেন। আর আমরা আজকের এই আর্টিকেল দ্বারা বিভিন্ন কোম্পানির ইন্ডাকশন চুলার দাম কত ২০২৪ তা উল্লেখ করেছি।  অতএব ইন্ডাকশন চুলার সঠিক মূল্য জানতে সম্পন্ন পোস্ট পড়ুন।

ইন্ডাকশন চুলার দাম কত ২০২৪

আপনি বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির ইন্ডাকশন চুলা পেয়ে যাবেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সিঙ্গার ইন্ডাকশন চুলা, ওয়ালটন ইন্ডাকশন চুলা, ভিশন ইন্ডাকশন চুলা। তবে আপনাকে অবশ্যই ভালো মানের কোম্পানির ইন্ডাকশন চুলা  ক্রয় করতে হবে। যেখানে আপনাকে বিদ্যুতের খরচটা অনেকাংশে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়। যদি ভালো মানের এবং একটু বাজেট বেশি নিয়ে ইন্ডাকশন চুলা ক্রয় করে থাকেন। তবে তুলনামূলকভাবে আপনি ২৯০০ টাকা থেকে প্রায় ৮-৯ হাজার টাকায় একটি ইন্ডাকশন চুলা ক্রয় করতে পারবেন।

তাহলে আপনি যেমন রান্নার কাজে এই ইন্ডাকশন চুলা ব্যবহারে সুবিধা পাবেন তেমনি বিদ্যুৎ খরচটাও অনেকাংশ কমিয়ে আনতে সক্ষম হবে। ইন্ডাকশন চুলার দাম কত ২০২৪ নিয়ে আজকে আর্টিকেল সম্পূর্ণ করেছি।  সঠিক এবং নির্ভুল দাম জানতে আমাদের এই পোস্ট অবশ্যই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বিস্তারিত দেখে নিন।

ইলেকট্রিক চুলার দাম কত ২০২৪

ইন্ডাকশন চুলা কে অনেকেই ইলেকট্রিক চুলা নামে চিনে থাকে। বিদ্যুৎ ব্যবহার করে যেহেতু রান্না করা হয় তাই অনেকে ইলেকট্রিক চুলা হিসেবে জেনে থাকে। তবে এই ইলেকট্রিক চুলা বা ইন্ডাকশন কুকার গুলো বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং কোম্পানি অনুযায়ী বিভিন্ন ভাগের হয়ে থাকে। এই ইন্ডাকশন চুলার পাওয়ার ক্ষমতা ভোল্টেজ অপারেটিং কত ইত্যাদি বিষয়ের উপর এই ইলেকট্রিক চুলা গুলো শ্রেণীবদ্ধ। আর ইলেকট্রিক চুলার দাম সর্বনিম্ন আপনি ৩০০০ থেকে ৩৫০০ টাকা পেয়ে যাবেন। এখন কোন মডেলের ইন্ডাকশন চুলার দাম কেমন হবে তা একটু নিচে গিয়ে দেখে নিন।

কারেন্টের চুলার দাম কত ২০২৪

কারেন্টের তুলা বলতে ইন্ডাকশন চুলা বা ইলেকট্রিক চুলা সবই একই। তবে এই চুলা গুলোর কার্যক্ষমতা বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। আর এইসব চুলার দাম বাংলাদেশে আপনি বিভিন্ন বাজারে সর্বনিম্ন ২৯০০ টাকা পেয়ে যাবেন। তবে এত লো বাজেটে ভালো মানের কারেন্টের চুলা বা ইন্ডাকশন চুলা ক্রয় করতে পারবেন না।

যদি অনেকদিন যাবত এবং ভালো মানের ইন্ডাকশন চুলা কিনতে চান তাহলে আপনাকে সর্বনিম্ন ৪-৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি  ইন্ডাকশন চুলা ক্রয় করতে হবে। একটু নিচে প্রবেশ করে বিভিন্ন কোম্পানির এই ইন্ডাকশন চুলার দাম এবং মডেল দেখে নিন। যে তথ্য গুলো আপনাকে ভালো মানের কারেন্টের চুলা ক্রয় করতে অনেকটাই সাহায্য করবে।

ওয়ালটন ইন্ডাকশন চুলার দাম কত ২০২৪

ইন্ডাকশন চুলার দাম সর্বনিম্ন ২,৫০০ টাকা শুরু করে প্রায় ৯-১০ হাজার টাকা হতে পারে।  কোম্পানির বেদে এই ইন্ডাকশন কুকারের দাম বিভিন্ন রকম।  যেমন আপনি যদি ওয়ালটন ইন্ডাকশন কুকার করতে চান তাহলে সবনিম্ন ৩০০০ টাকা দিয়ে একটি ইন্ডাকশন চুলা করতে পারবেন।

  • ওয়ালটন (WI-F15) মডেল ইন্ডাকশন কুকারের দাম ৩১০০ টাকা
  •  Walton এই( WI-S40) মডেলের দাম ৩৫৫০ টাকা।
  •  ওয়ালটন এই (WI-S35) মডেলের দাম ৩৫১০ টাকা।
  • Walton এই (WI-S45)মডেলের দাম ৩৯১৫ টাকা।

ভিশন ইন্ডাকশন চুলার দাম কত

যদি আপনি  ভিশন  ইন্ডাকশন  চুলা করা করতে চান তাহলে আপনি অনেক কম দামে কিনতে পারবেন।  যে দামগুলো  তুলনামূলকভাবে অন্যান্য কোম্পানি থেকে অনেক কম পাওয়া যায়।  এবং ভিশন কোম্পানি ইলেকট্রনিক পণগুলো একটু ভালো মানের হয়ে থাকে। যেমন বাংলাদেশের বাজারে ভিশন ইন্ডাকশন চুলার দাম বর্তমানে এই 1206-ECO মডেলের ২৯৮০টাকা

  • এছাড়াও এই (VSN 1204 BORDE ECO)মডেলের ভিশন ইন্ডাকশন চুলার দাম ৩৫৯০ টাকা।
  • আবার এই (VSB XI 30A3) মডেলের ইনফারেট চুলার দাম ৩৮২৫টাকা।
  • আবার এই(VSN 40 A3) মডেলের ইন্ডাকশন চুলার দাম ৩৯৭০ টাকা।

কিয়াম ইন্ডাকশন চুলার দাম কত ২০২৪

প্রত্যেক কোম্পানির এই ইন্ডাকশন চুলার বিভিন্ন রকম বৈশিষ্ট্য রয়েছে।  বৈশিষ্ট্য যত ভালো সেই কোম্পানির ইন্ডাকশন কুকার ব্যবহার এবং মানুষের কাছে অনেকটাই জনপ্রিয় হিসেবে পরিচিত। এখন আপনি যদি ইন্ডাকশন চুলা করতে চান তাহলে বাংলাদেশের যেকোনো বাজারে থেকে ক্রয় করতে পারবেন। তবে এসব ইন্ডাকশন চুলার দাম ধারণাদার উদ্দেশ্যে আপনাদের জন্য এখানে মূল্য উল্লেখ করেছি। বাজার বেধে এসব ইন্ডাকশন চুলার দাম গুলোর পরিবর্তন হতে পারে।

যেমন বর্তমান বাজারে কিয়াম ইন্ডাকশন চুলার দাম ৩৯৬০ টাকা। এই চুলার  কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। শক্তিশালী ফায়ার পাওয়ার ২০০০ ওয়াট পর্যন্ত। এবং এটি নিয়ন্ত্রণ স্পর্শ সেন্সর। এছাড়াও এর তাপমাত্রা ৬০-২৭০ ডিগ্রী তাপমাত্রা সমন্বয়। এবং এটির 4 সংখ্যার LED ডিসপ্লে সহ 8-পর্যায়ের পাওয়ার সেটিং। তো আপনারা চাইলে বিশেষ কিছু সুবিধা পাওয়ার জন্য এই কিয়াম ইন্ডাকশন চুলা  ক্রয় করতে পারেন।

ইন্ডাকশন চুলা ব্যবহারে বিদ্যুৎ খরচ

এই ইন্ডাকশন চুলা যেহেতু কারেন্টের মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।  তাই প্রত্যেক ব্যক্তির এই ইন্ডাকশন চুলা ক্রয় করার পূর্বে এর বিদ্যুৎ ব্যবহারের কত টাকা খরচ হয় তা জেনে নেওয়া অতি গুরুত্বপূর্ণ। স্বাভাবিকভাবে এই ইন্ডাকশন তুলার ব্যবহারে প্রতি মাসে  বিদ্যুৎ খরচ হয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা বা তা থেকেও বেশি হয়ে থাকে। সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আপনার ব্যবহারের ধরনের উপর। বর্তমানে যে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তা থেকে এই ইন্ডাকশন চুলা ব্যবহার অতি উত্তম।

ইন্ডাকশন চুলার ওয়ারেন্টি কত দিন

এই ইন্ডাকশন চুলার ওয়ারেন্টি হচ্ছে আপনি যেদিন কিনবেন তা থেকে এক বছর পর্যন্ত ফ্রি সার্ভিস পেয়ে যাবেন। অতঃপর এক বছর ব্যবহার করার পর যদি কোন রকম ইন্ডাকশন চুলার সমস্যা হয়ে থাকে।  তাহলে আপনাকে সার্ভিস চার্জ দিয়ে ইন্ডাকশন চুলাটি মেরামত করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে অনেকে বলে থাকেন ইন্ডাকশন চুলার তিন থেকে চার বছরের ওয়ারেন্টি হয়ে থাকে। যেটি একদম ভুল তথ্য।

ইন্ডাকশন চুলার সুবিধা সমূহ

এসব ইলেকট্রিক বা কারেন্টের চালিত ইন্ডাকশন  চুলার বিশেষ সুবিধা রয়েছে।  যে সুবিধার কারণে বর্তমানে অনেক মানুষ  ইন্ডাকশন চুলা ব্যবহার করছেন। গ্যাসের সিলিন্ডারসহ গ্যাসের চুলা এবং অন্যান্য যাবতীয় ইলেকট্রনিক পনের থেকে ইন্ডাকশন  তুলার যে সুবিধা সমূহ রয়েছে তা নিম্নরুপ।

  • রানার  গতি বৃদ্ধি  অর্থাৎ খুব তাড়াতাড়ি রান্না করা যায়।
  • দক্ষ শক্তি
  • নিরাপত্তা সুব্যবস্থা
  • তাপমাত্রা ইচ্ছামত নিয়ন্ত্রণ করা
  • এবং পরিষ্কার করা অত্যন্ত সহজ।

শেষ কথা

বাংলাদেশে অনেক ব্যবহৃত হচ্ছে এই ইন্ডাকশন চুলা। গ্যাসের খরচটা কমানোর জন্য এবং রানার কাজে সুবিধা পাওয়ায় অনেকেই এই ইন্ডাকশন চুলা ব্যবহার করছেন। তো যারা ইতিমধ্যে চুলার দাম গুলো নিয়ে অনলাইনে অনুসন্ধান করছিলেন। করছি আমাদের এই আর্টিকেল পড়ে আপনারা অনেকটাই উপকৃত হয়েছেন। যদি ইন্ডাকশন চুলার দাম কত ২০২৪ আমাদের এই পোস্ট থেকে সঠিক এবং নির্ভুল জানতে পারেন। তাহলে অবশ্যই আপনার  আশেপাশের ব্যক্তিদেরকে এই পোস্ট শেয়ার করে জানিয়ে দিবেন।  ধন্যবাদ

About Foysal Ahmed

আমি মোঃ ফয়সাল আহমেদ। দীর্ঘদিন যাবত আমি অনলাইন কাজের সাথে জড়িত। আজকের দাম কত সাইটে আমি আমাদের দৈনন্দিন নিত্য প্রয়োজনীয় সকল প্রকার পণ্যের দাম নিয়ে আলোচনা করে থাকি। আশা করি আমাদের সাইট থেকে প্রায় সকল ধরনের জিনিসের দাম সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন।

View all posts by Foysal Ahmed →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *