ফ্রিজের খাবারগুলোকে ঠান্ডা রাখার জন্য একপ্রকার গ্যাসের প্রয়োজন হয়। এই গ্যাসগুলো ফ্রিজের কম্প্রেসার এর মধ্যে জমা রাখা হয়ে থাকে। নির্দিষ্ট কয়েক বছর পর পর এই গাছগুলো পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয়ে থাকে। যা খুব অল্প টাকার মধ্যেই পাওয়া যায়। যদি কোন কারনে এই গ্যাস সম্পন্ন শেষ হয়ে যায় তাহলে আপনার ফ্রিজের খাবারগুলো নষ্ট হতে থাকবে।
তাই গ্যাস ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই আপনার কম্প্রেসার এর গ্যাস সিলিন্ডারটি রিফিল করে নিন। আপনার নিকটস্থ যেকোন ফ্রি সার্ভিসিং দোকান থেকে এই গ্যাস কিনতে পারবেন। তবে টেকনিশিয়ান আপনার বাসায় এসে আপনার ফ্রিজের জন্য কোন গ্যাসটি প্রযোজ্য তা দেখার পর এর দাম নির্ধারণ করবে। তবে আনুমানিক দুই হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার টাকার মত খরচ হতে পারে।
ফ্রিজের গ্যাস
শুধু যে ফ্রিজে গ্যাস থাকে তা নয়, এসি তে এই গ্যাস ব্যবহার করা হয়। এই গ্যাসের মাধ্যমে ফ্রিজের ভিতরের অংশ ঠাণ্ডা হতে থাকে। এক সময় গ্যাস গুলো বরফ জমাতে সাহায্য করে। অনেক সময় ফ্রিজে গ্যাস থাকা স্বত্বেও ফ্রিজ চলাচল বা ভিতরের অংশ ঠাণ্ডা হয়ে বন্ধ হয়ে যায়। এর কারণ অনেক সময় গ্যাস লাইনের পাইপ টি লুস বা লিক হয়ে যায়। যার কারণে ফ্রিজে গ্যাস চলাচল ফ্রিজে প্রবেশ করতে পারে না। তাই ফ্রিজের গ্যাস লাইন মাঝে মাঝে পরিষ্কার করে নিবেন।
ফ্রিজের গ্যাসের দাম কত
বাজারে বিভিন্ন মডেলর গ্যাস সিলিন্ডার রয়েছে। যেগুলো মূলত ফ্রিজের জন্য তৈরি করা হয়েছে। ২৫০০ টাকার মধ্যে সাধারণ মানের ফ্রিজের গ্যাস পেয়ে যাবেন। কিছু গ্যাসের মূল্য ২৭০০ থেকে ২৮০০ টাকার মধ্যে। আরও উন্নতমানের গ্যাস রয়েছে, যেগুলোর দাম ৩০০০ হাজারের বেশি হয়ে থাকে।
গ্যাস ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভালো মানের গ্যাস ব্যবহার করবেন। এতে করে ফ্রিজে সঠিক মাত্রায় গ্যাস সরবরাহ হবে এবং ফ্রিজ অনেক ঠাণ্ডা থাকবে। মনে রাখবেন আপনার ফ্রিজ যদি নির্দিষ্ট মাত্রায় ঠান্ডা না হয় তাহলে খাবারগুলো দীর্ঘ দিন সতেজ থাকবে না।
ফ্রিজের জন্য R৩২ মডেলের গ্যাস টি ব্যবহার করতে পারেন। এর ওজন ৭ কেজি। এই গ্যাসের রানিং পেশার থাকে ১১০ থেকে ১১৫ psi হয়ে থাকে। এই ফ্রিজের গ্যাসের মূল্য ৩২০০ টাকা।
ফ্রিজে গ্যাস ভরতে কত টাকা লাগে
আপনার ফ্রিজের গ্যাস যদি শেষ হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে গ্যাসের দাম সহ এবং ইলেকট্রিশিয়ান এর মজুরি সহ আনুমানিক ৩০০০ টাকার মতো খরচ হতে পারে। তবে অবশ্যই কয়েকটি দোকান যাচাই-বাছাই করার পরে এই দাম নির্ধারণ করার চেষ্টা করবেন। কারণ কিছু ব্যবসায়ী এই গ্যাসের দাম অতিরিক্ত পরিমাণে নিয়ে থাকে।
ফ্রিজের গ্যাসের নাম কি
ফ্রেয়ন গ্যাস ফ্রিজে ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া বিভিন্ন মডেলের ফ্রিজের গ্যাস রয়েছে। ফ্রিজে R600a এই গ্যাসও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। গ্যাসের নাম হচ্ছে “মিথাইল প্রোফেন” । এছাড়াও এটিকে আইসোবিউটেন বলে ডাকা হয়। এই গ্যাস ব্যবহারের ৬০% বিদ্যুৎ খরচ কম হয়। এর পাশা-পাশি R১৩৪a গ্যাস ফ্রিজে ব্যবহার করা হয়।
ফ্রিজের রানিং পেশার বেশি পাওয়ার জন্য ১৩ কেজি ওজনের R১৩৪ গ্যাস ব্যবহিত হয়। R৩২ গ্যাস থেকে রানিং পেশার ১১০ থেকে ১১৫ পর্যন্ত পাওয়া যায়। মূলত উপরোক্ত এই গাসের যেকোনো একটি ফ্রিজের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।
ফ্রিজের গ্যাস চার্জ করার নিয়ম
সঠিক নিয়মে ফ্রিজের গ্যাস চার্জ করতে হয়। কিভাবে ফ্রিজের গ্যাস চার্জ করবেন আপনাকে শিখিয়ে দিয়েছি এখানে। ফ্রিজের গ্যাস চার্জ করতে কিছু যন্ত্র প্রয়োজন হবে। যেগুলো আপনাদের কাছে নেই। বলতে গেলে বাসায় নিজেরা গ্যাস চার্জ করতে পারবেন না। এজন্য যেখানে ফ্রিজের গ্যাস পরিবর্তন করা হয় বা ফ্রিজ সার্ভিসিং করা হয় সে সকল দোকান থেকে করতে হবে। নিজেরা কিভাবে ফ্রিজের গ্যাস চার্জ করবেন তা জানার জন্য ইউটুব থেকে ভিডিও দেখতে হবে। কারণ লেখার মাধ্যমে সেগুলো বুঝতে পারবেন না।
ফ্রিজের কম্প্রেসার দাম কত
কম্প্রেসার মানে হচ্ছে কম্প্রেস করা বা সংকুচিত করা। এর মাধ্যমে ফ্রিজ কে ঠাণ্ডা বাসাত প্রদান করে। ফ্রিজ থেকে গরম বাসাত কে বের কে দেয়। বিভিন্ন মডেলের ফ্রিজের কম্প্রেসার রয়েছে, যেগুলোর দাম ভিন্ন ভিন্ন। বিভিন্ন ব্রান্ডের ফ্রিজের জন্য আলাদা আলাদা কম্প্রেসার ব্যবহার করা হয়। ফ্রিজের কম্প্রেসার মেশিনের দাম ৩০০০ টাকা। এর চেয়ে বেশি দামেও অনেক কম্প্রেসার পাওয়া যায়। কম্প্রেসার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে উন্নতমানের গুলা ব্যবহার করবেন।
আপনারা ৫ ধরনের কম্প্রেসার কিনতে পারবেন। রেসিপ্রকেটিং কম্প্রেসার, রোটারি ভেন কম্প্রেসার, স্ক্রল কম্প্রেসার,স্ক্রু কম্প্রেসার মেশিন এবং সেন্ট্রিফিউগাল কম্প্রেসার। ৩৫০০ বা ৪০০ হাজারের মধ্যেও ভালো মানের কম্প্রেসার কিনতে পারবেন। উন্নতমানের ফ্রিজের কম্প্রেসার ৫০০০ টাকার মধ্যে বিক্রি করা হয়।
শেষ কথা
বাজারে বিভিন্ন মডেলের ফ্রিজের জন্য গ্যাস রয়েছে। এগুলোর দাম এর কুয়ালিতি বা ওজনের উপরে নির্ভর করবে। যেকোনো সময় এর দাম পরিবর্তন হতে পারে। আশা করছি এই পোস্ট থেকে ফ্রিজের গ্যাসের দাম কত এবং ফ্রিজের গ্যাস পরিবর্তনের নিয়ম জানতে পেরেছেন। সব সময় আপনার ফ্রিজের জন্য ভালো মানের গ্যাস ও একজন দক্ষ টেকনিশিয়ান এর মাধ্যমে কাজগুলো করে নিবেন।