ফ্লেক্সিলোড সিমের দাম কত ২০২৪

সাধারণ সিমের দাম ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা হলেও ফ্লেক্সিলোড সিমের মূল্য অনেক বেশি। ফ্লেক্সিলোড সিমের দাম ৬০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই সিমের মাধ্যমে বাংলালিংক, গ্রামীণ, রবি, এয়ারটেল, টেলিটক ও আরও বিভিন্ন সিমে ফ্লেক্সিলোড করতে পারবেন। এজন্য এই সিমের অপারেটরের সাথে আপনার আইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। কম দামে আপনারা বাংলালিংক ফ্লেক্সিলোড সিম ক্রয় করতে পারবেন।

আজকের পোস্টে কিভাবে ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা শুরু করবেন এবং এর একজন নিয়মিত সদস্য হতে পারবেন এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আরও শেয়ার করেছি ফ্লেক্সিলোড সিমের দাম কত টাকা? কিভাবে কম দামে বাংলালিংক ও গ্রামীণ ফ্লেক্সিলোড সিম কিনতে পারবেন।

ফ্লেক্সিলোড সিমের দাম কত

চাইলেই ফ্লেক্সিলোড সিম কিনতে পারবেন না এবং এই পদে ব্যবসা করতে পারবেন না। এজন্য সকল সিমের হেড অফিস থেকে আপনাকে অনুমোদন নিতে হবে। এজন্য আপনাকে আবেদন করতে হবে এবং পরবর্তিতে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। একটি ফ্লেক্সিলোড সিমের দাম ৬০০০ টাকা। অনেক সময় ৫৫০০ টাকার মধ্যেও বিক্রি করা হয়। এই ৬০০০ টাকা দিয়ে ফ্লেক্সিলোড সিম কিনলে আপনার ব্যালেন্স যোগ হয়ে থাকবে। পরবর্তীতে এই টাকা দিয়ে বিভিন্ন আকাউন্ট আ ট্রান্সফার করতে পারবেন এবং মোবাইল রিচার্জ করতে পারবেন। একটি সিম কিনলেই যেকনো সিমের ফ্লেক্সিলোড করতে পারবেন।

বাংলালিংক ফ্লেক্সিলোড সিমের দাম কত

একজন ফ্লেক্সিলোডের সদস্য হতে পারবেন এই সিম কিনার মাধ্যমে। বাংলালিংক ফ্লেক্সিলোড সিমের দাম ৬ হাজার টাকা। আগে ছিলো ৫৫০০ টাকা। বর্তমানে এখন আরও ৫০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক সময় এই সিমের দাম ৬৫০০ টাকাও বিক্রি করা হয়। সিমটি কিনার জন্য আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এজন্য আপনার ভোটার আইডি কার্ড এবং ছবি লাগবে। এগুলো দিয়ে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এর পর বিভিন্ন সিমে আপনার একাউন্ট থেকে মোবাইলে রিচার্জ করতে পারবেন।

বাংলালিংক হেড অফিসের ঠিকানা

আরও বিস্তারিত জানতে আপনারা বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তাদের যোগাযোগের নাম্বার, ঠিকানা নিচে দেওয়া আছে। সেই সাথে অগিশিয়াল ওয়েবসাইট ঠিকানা, ফেসবুক পেজ ও ইমেইল আইডি শেয়ার করেছি। সরাসরি যোগাযোগের জন্য এই ঠিকানায় চলে যান। আটি তাদের হেড অফিসের ঠিকানা।

  • ঠিকানাঃ  গুলশান-২ রেঞ্জ আর্কেড, 153/a, গুলশান উত্তর এভিনিউ (নিচতলা, দক্ষিণ পাশে), গুলশান সার্কেল-2, ঢাকা-1212।
  • ওয়েবসাইটঃ https://www.banglalink.net/bn
  • ইমেইলঃ [email protected]
  • মোবাইলঃ +8801911304121

গ্রামীনফোন ফ্লেক্সিলোড সিমের দাম কত

আপনারা একটি সিমের মাধ্যমেই সকল সিমের ফ্লেক্সিলোডের জন্য অনুমোদন পেয়ে যাবেন। একই দামে আপনাকে ফ্লেক্সিলোড সিম টি কিনতে হবে ৫০০০ থেকে ৬০০০ টাকার মধ্যে গ্রামীণ ফ্লেক্সিলোড সিম কিনতে হবে। সিম কেনার পর রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। নিচে গ্রামীনফোনের কাস্টমার কেয়ার নাম্বার ও যোগাযোগের ঠিকানা দেওয়া আছে। আরও জানতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করবেন।

  • ঠিকানাঃ জিপি হাউস বসুন্ধরা, বারিধারা ঢাকা-১২২৯
  • ফোন: +৮৮-০২-২২২২৮২৯৯০, +৮৮০-১৭৯৯৮৮২৯৯০
  • ফেক্স: +৮৮-০২-৮৪১৬০২৬
  • ই-মেইল করুন: [email protected]

ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা করতে প্রয়োজনীয় তথ্য 

প্রথমে আপনাকে একটি নিবন্ধন করতে হবে। এজন্য ভোটার আইডি দিয়ে আকাউন্ট খুলে রেজিস্ট্রেশন করবেন। আপনার একটি দোকান প্রয়োজন হবে। যেখান থেকে ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করবেন। দোকানের একটি নিবন্ধন থাকতে হবে। ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন হবে। এইর ট্রেড লাইসেন্স না থাকলে এই পদে ব্যবসা করতে পারবেন না। তাই প্রথমে আপনার নামে একটি ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স করে নিতে হবে।

ডিজিটাল ফ্লেক্সিলোড রেজিস্ট্রেশন

এই অ্যাপে একাউন্ট খুলার মাধ্যমে যেকোনো সিমে রিচার্জ করতে পারবেন। এই অ্যাপ টি গুগল প্লে স্টোরে পেয়ে যাবেন। এছাড়া গুগলে ডিজিটাল ফ্লেক্সিলোড রেজিস্ট্রেশন লিখে সার্চ দিন। প্রথম ওয়েবসাইট থেকে এটি ডাউনলোড করুন। অথবা তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। এরপর এই অ্যাপ টি ওপেন করুন।

  • আপনার সিম নাম্বার লিখুন।
  • ভোটার আইডি নাম্বার দিন
  • আপনার নাম এবং জন্মসাল লিখুন।
  • একটি ছবি আপলোড করুন।
  • আরও কিছু সঠিক তথ্য দিয়ে পরের অংশ টি পূর্ণ করুন। এখন সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন।

ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা করার নিয়ম

এই ব্যবসাটি করার জন্য কিছু নিয়ম রয়েছে। যেগুলো আপনাকে মেনে চলতে হবে। এই পলিসি গুলোর বাইরে আপনারা কাজ করতে পারবেন না। প্রতি দিন পরিমাণ মতো মোবাইল রিচার্জ করার মাধ্যমে আপনাকে কমিশন দেওয়া হবে। নিচে থেকে ব্যবসা শুরু করার কিছু নিয়ম দেখেনিন।

  • ব্যবসা শুরু করার আগে উপযুক্ত স্থান নির্ধারণ করুন।
  • এখন একটি ট্রেড লাইসেন্স বানিয়ে নিন।
  • বিভিন্ন কোম্পানি থেকে ফ্লেক্সিলোড সিম ক্রয় করুন।
  • এরপর ভোটার কার্ডের মাধ্যমে সিমের জন্য রেজিস্ট্রেশন করুন।
  • একটি সিম ক্রয় করার মাধএম বাংলালিন, গ্রামীণ, রবি, টেলিটক, স্কিতো, এয়ারটেল সিমে রিচার্জ করতে পারবেন।

ফ্লেক্সিলোড সিম কিভাবে পাওয়া যায়

এই সিম গুলো সকল দোকানেই কিনতে পারবেন না। ফ্লেক্সিলোড সিম গুলো তাদের অপারেটরের কাছে থেকে সংগ্রহ করতে হবে। এছাড়া আপনারা বিভিন্ন সিম কোম্পানির হেড অফিসে যোগাযোগের মাধ্যমে ফ্লেক্সিলোড সিম কিনতে পারবেন।  সিম টি ৬০০০ হাজার টাকা দিয়ে কিনতে হবে। এরপর সিমটিতে আপনার নামে নিবন্ধন করতে হবে। ফ্লেক্সিলোডের জন্য একটি একাউন্ট খুলতে হবে। এরপর এই সিম থেকে বিভিন্ন সিমে মোবাইল রিচার্জ দিতে পারবেন।

এক সিম দিয়ে সব সিমে ফ্লেক্সিলোড

আগের সময়ে সকল সিমের জন্য আলাদা আলাদা ভাবে ফ্লেক্সিলোড সিম কিনতে হতো। যেমন বাংলালিংক সিমে রিচার্জ করতে চাইলে বাংলালিংক ফ্লেক্সিলোড সিম প্রয়োজন হতো। এখানে গ্রামীণ সিম থেকে বাংলালিংক সিমে লোড দেওয়া যেতো না। কিন্তু এখন যেকোনো অপারেটরের ফ্লেক্সিলোড সিম থেকে অন্য যেকোনো সিমে রিচার্জ করা যায়। কিভাবে করবেন তা দেখেনিন।

  • ফ্লেক্সিলোড অ্যাপস ইন্সটল করুন।
  • আপনার বর্তমান সিম টিকে ফ্লেক্সিলড এর অ্যাপ এ রেজিষ্টার করতে হবে এই আপসের মাধ্যমে।
  • এন আইডি কার্ড এর ২ পাশের ছবি সংযুক্ত করুন।
  • ফ্লেক্সিলোড সিম নাম্বার টি লিখুন। আপনার নাম লিখুন।
  • একটি ইমেইল ঠিকানা লিখুন।

এরপর এই অ্যাপ থেকে যেকোনো সিমেই রিচার্জ করতে পারবেন। আপনার ফ্লেক্সিলোড সিম টি যদি বাংলালিংক হয় থাকে তাহলে এখন থেকে এই অ্যাপ্সের মাধ্যমে সকল সিমেই রিচার্জ দিতে পারবেন।

অনলাইনে ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা

বর্তমান সময়ে ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা আরও সহজ হয়েছে। অনেকে অনলাইন থেকে ফ্লেক্সিলোডের মাধ্যমে ইনকাম করতেছে। এজন্য আপনাকে একজন রিটেইলার হতে হবে। অবশ্যই একটি দোকান, ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন হবে এবং সিম কোম্পানির SR দের সাথে যোগাযোগ করে ফ্লিক্সিলোড সিম কিনতে হবে। সিম কোম্পানির SR দের কাছ থেকে ব্যালেন্স লোড করে নিতে হবে।

অনলাইনে ফেসবুকের মাধ্যমেও ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা করতে পারবেন। অনেক রিটেইলার গ্রুপ রয়েছে সেখানে এড হবেন। অথবা নিজে একটি ফেসবুক বা মেসেঞ্জার গরুও খুলবেন। প্রতিদিন সেখানে বিভিন্ন সিমের অফার দিবেন। সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়া একটি মানসম্মত ফেসবুক পেজ খুলতে পারেন। যেখানে প্রতিদিনের অফার পোস্ট করবেন এবং অফার নেওয়ার জন্য নির্দেশনা গুলো দিয়ে দিবেন। একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও একই কাজ করে অনলাইনে ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা করতে পারবেন।

রিটেইলার ব্যবসা করতে যা করনীয়

  1. জনবহুল লোকেশনে দোকান দেয়া
  2. সকল সিমের রিটেলার সিম ক্রয় করে নিবন্ধন করা
  3. সঠিক ভাবে প্রচারণা করা
  4. বিভিন্ন অফার কাস্টমারদের কাছে বিক্রি করা

ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায় লাভ কেমন

এই ব্যবসার মাধ্যমে অনেক পরিমাণ টাকা পাওয়া যায়। ব্যবসা করার জন্য আপনার কোনো পুঁজি লাগবে না। প্রতিদিন কাস্টমারদের রিচার্জ করে দেওয়ার মাধ্যমে সেখান থেকে আপনারা কমিশন লাভ করবেন। প্রতি ১০০০ টাকা মোবাইল রিচার্জ দেওয়ার মাধ্যমে ৩০ টাকা আপনাকে দেওয়া হবে। দিনে ৫০০০ টাকার ফ্লেক্সিলোড করার মাধ্যমে ১৫০ টাকা কমিশন পাবেন। এভাবেই আপনি এই ব্যবসা থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং লাভ ভান হতে পারবেন।

শেষ কথা

ফ্লেক্সিলোদের ব্যবসা করতে চাইলে যেকোনো একটি কোম্পানির সিম কিনবেন। এরপর ফ্লেক্সিলোড রেজিস্ট্রেশন করে নিবেন। বেশি টাকা উপার্জনের জন্য অনলাইনে যুক্ত হবেন। আশা অর্চি এই পোস্ট টি আপনাদের ভালোলেগেছে এবং এই পোস্ট থেকে ফ্লেক্সিলোড সিমের দাম কত? কিভাবে ফ্লেক্সিলোড করতে হয় তা জানতে পেরেছেন। এই রকম দাম সম্পর্কিত আরও তথ্য জানতে আমার সাথেই থাকবেন। ধন্যবাদ।

About Foysal Ahmed

আমি মোঃ ফয়সাল আহমেদ। দীর্ঘদিন যাবত আমি অনলাইন কাজের সাথে জড়িত। আজকের দাম কত সাইটে আমি আমাদের দৈনন্দিন নিত্য প্রয়োজনীয় সকল প্রকার পণ্যের দাম নিয়ে আলোচনা করে থাকি। আশা করি আমাদের সাইট থেকে প্রায় সকল ধরনের জিনিসের দাম সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন।

View all posts by Foysal Ahmed →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *