কিরগিজস্তান কাজের ভিসা কত টাকা 2024

সরকারি এবং বেসরকারিভাবে বাংলাদেশ থেকে কিরগিজস্তানে কাজের ভিসা সহ বিভিন্ন ভিসায় যাওয়া যায়। তবে ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রত্যেক ভিসার দাম নির্ধারিত হয়। এবং বাংলাদেশ থেকে কিরগিজস্তানে পৌঁছাতে অন্যান্য দেশের তুলনায় খুবই কম টাকা খরচ হয়ে থাকে। কিরগিজস্তান মধ্য এশিয়ার স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র।

খুব সহজে পরিচিতি হিসেবে এদেশের উত্তরে কাজাখস্তান, পূর্বে চীন, দক্ষিণে চীন ও তাজিকিস্তান এবং পশ্চিমে উজবেকিস্তান অবস্থিত। এ দেশটির রাজধানী হচ্ছে বিশকেক যা এদেশের বৃহত্তম শহর। এ দেশের সরকার মাঝে মধ্যে বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে যারা কিরগিজস্তান কাজের ভিসা পেতে চাচ্ছেন। তারা অবশ্যই এই পোস্ট থেকে বিস্তারিত কিরগিজস্তান কাজের ভিসা কত টাকা তা পূর্বেই জেনে নিন।

অনেকেই কাজের ভিসার পাশাপাশি পড়ালেখা করতে অথবা ভ্রমণ করতে কিরগিজস্তান গিয়ে থাকেন। ইতোমধ্যে জেনেছি যে ভিসার ধরনের উপর নির্ভর করে দামও কম বেশি হয়। তবে বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে কিরগিজস্তান যেতে চায়। বর্তমানে কাজের ভিসায় যেতে হলে আপনাকে আট থেকে দশ লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে।

কিরগিজস্তান কাজের ভিসা কত টাকা

কোনো দেশে ভ্রমণের পূর্বে সেই দেশের ভিসা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জেনে রাখা উচিত। বিশেষ করে যে ভিসা আপনি তৈরি করতে চাচ্ছেন সেই ভিসার দাম কত টাকা। এবং সেই ভিসায় কত টাকা বেতন নির্ধারিত হবে। তবে বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে কাজের ভিসা অনুযায়ী কিরগিজস্তানে যেতে ন্যূনতম ২ লক্ষ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা খরচ হয়।

সরকারিভাবে এবং বেসরকারিভাবে আপনি বাংলাদেশ থেকে কিরগিজস্তান যেতে পারবেন। অন্যান্য দেশের তুলনায় বেসরকারি থেকে সরকারিভাবে কাজের ভিসার দাম অনেক কম। আর বেসরকারিভাবে কোনো এজেন্সির সাহায্য কিরগিজস্তান কাজের ভিসা সংগ্রহ করতে চাইলে ন্যূনতম খরচ হতে পারে ৩ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকা। এবং সর্বোচ্চ কিরগিজস্তান কাজের ভিসার দাম হতে পারে ৫ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা।

তবে এর পূর্বে আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে বর্তমানে ২০২৪ সালে কি কি কাজের জন্য বর্তমানে কিরগিজস্তান যাওয়া যায়। প্রশ্নের উত্তর হচ্ছেঃ কনস্ট্রাকশন কাজের, ফ্যাক্টরি কাজে, গার্মেন্টস এর কাজে, ইলেকট্রিশিয়ানের কাজে, প্লাম্বারের কাজে, মেকানিকের কাজে, ফুড ডেলিভারির কাজে, ওয়েল্ডারের কাজ সহ আর ইত্যাদি। তবে এ বছর জানুয়ারিতে চকলেট কোম্পানির কাজের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

কিরগিজস্তান কাজের ভিসা ২০২৪

বর্তমানে তাজিকিস্তানের পরে মধ্য এশিয়ার দ্বিতীয় দরিদ্রতম দেশ হচ্ছে কিরগিজস্তান। যা দেশের জনসংখ্যার ২২.৪% দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। কিন্তু এদেশে খুব অল্প সংখ্যক কাজের সুযোগ রয়েছে। কিরগিজস্থান দেশটি এশিয়ার মধ্যে অবস্থিত। যার কারণে বাংলাদেশ থেকে যেকোনো ভিসায় মোটামুটি এই দেশে পৌঁছাতে অল্প সংখ্যক টাকার প্রয়োজন হয়।

আর খরচ কম হওয়ার কারণে অনেক বাংলাদেশী এই কিরগিজস্থানে বিভিন্ন ধরনের কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছেন। এছাড়া এই দেশে কাজের পাশাপাশি কিরগিজস্তান থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাই যারা প্রকৃতপক্ষে কিরগিজস্থান কাজের ভিসা তৈরি করতে চাচ্ছেন।

এ ক্ষেত্রে তাদের কাজের ভিসার দাম হতে পারে নূন্যতম ৩ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। যেমন কনস্ট্রাকশন কাজের ভিসায় যেতে চাইলে খরচ হবে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। আবার গার্মেন্টস ভিসায় খরচ হবে ৩ লক্ষ ২০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ টাকা। এছাড়া ফুড ডেলিভারি সহ ভালো কোন কোম্পানির ভিসা পেতে চাইলে ন্যূনতম খরচ হবে ৩,৫০,০০০ থেকে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।

কিরগিজস্থান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দাম কত ২০২৪

পূর্বে এই দেশে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে অনেক বাঙালি কিরগিজস্থান পৌঁছে গিয়েছেন। বর্তমানে ২০২৪ সালে আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে নতুন করে যেতে পারবেন। এবং সেখানে ভালো অংকের বেতনও পেয়ে যাবেন। তাই এই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা গুলির মধ্যে উল্লেখিত ভিসার তালিকা হচ্ছেঃ

  • কনস্ট্রাকশন ভিসা।
  • ফ্যাক্টরি ভিসা।
  • কোম্পানি ভিসা। 
  • কোম্পানির ড্রাইভিং ভিসা।
  • ইলেকট্রিশিয়ান ভিসা
  • গার্মেন্টস ভিসা সহ আরো ইত্যাদি

উপরে উল্লেখিত ভিসা গুলো ছাড়াও বিভিন্ন কাজের ভিসা নিয়ে বর্তমানে কিরগিজস্থানের ভিসা তৈরি করা যায়। এছাড়া যে সকল ব্যক্তি কোনরকম দক্ষতা নেই তারা চাইলে রেস্টুরেন্টের কাজে কিরগিজস্তান যেতে পারেন। এক্ষেত্রে উপরে উল্লেখিত প্রত্যেক ভিসার দাম ন্যূনতম সরকারিভাবে ২ লক্ষ টাকা থেকে ৩ লক্ষ টাকা খরচ হয়। এবং বেসরকারি কোন এজেন্সির মাধ্যমে উপরে উল্লেখিত ভিসার দাম হয় ৪ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা।

কিরগিজস্থান গার্মেন্টস ভিসা দাম কত টাকা

কিরগিজস্তানে অন্যান্য কাজের তুলনায় পূর্বের থেকে বর্তমানে গার্মেন্টসের ভিসার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তবে এই কাজের জন্য আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে হবে। এই ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম ন্যূনতম ৩ লক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ৪ লক্ষ টাকা। বিশেষ করে আপনি যদি গার্মেন্টস এর সুইং অপারেটর কাজ ভালো জেনে থাকেন তাহলে আপনার বেশ চাহিদা রয়েছে।

কিরগিজস্তানের কাজের ভিসা কিভাবে পাওয়া যায়

এদেশের ভিসা সংগ্রহ করতে আপনাকে কোন দেশে যেতে হবে না। আপনি বাংলাদেশ থেকেই এই কিরগিজস্তানের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে আবেদন করলে ২৫ থেকে ৩০ দিন অথবা ১ মাস থেকে ২ মাসের মধ্যে ভিসা হয়ে যাবে।

এছাড়াও এদেশের কাজের ভিসার জন্য কোনো এজেন্সি অথবা দালালদের সাহায্য নিতে পারেন। বাংলাদেশ থেকে ম্যানপাওয়ার করে খুব দ্রুত কিরগিজস্তানের ভিসা তৈরি করতে পারবেন। অর্থাৎ কিরগিজস্তানের কাজের ভিসা সরকারিভাবে অথবা এজেন্সির মাধ্যমে খুব সহজেই পাওয়া যায়।

শেষ কথা

বাংলাদেশ থেকে কিরগিজস্তানের উদ্দেশ্যে আপনি যেকোনো ভিসায় খুব সহজে সরাসরি যেতে পারেন। তবে এদেশে যেহেতু অনেকগুলো কাজের সুযোগ রয়েছে। তাই প্রত্যেক কাজের জন্য আলাদা আলাদা ভিসার দাম নির্ধারিত হয়। আশা করতেছি ইতিমধ্যে আপনারা কিরগিজস্তান কাজের ভিসা কত টাকা তা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আর এ পোস্ট আপনার কাছে উপকৃত মনে হলে অন্যদেরকে শেয়ার করে জানিয়ে দিন। ধন্যবাদ

About Foysal Ahmed

আমি মোঃ ফয়সাল আহমেদ। দীর্ঘদিন যাবত আমি অনলাইন কাজের সাথে জড়িত। আজকের দাম কত সাইটে আমি আমাদের দৈনন্দিন নিত্য প্রয়োজনীয় সকল প্রকার পণ্যের দাম নিয়ে আলোচনা করে থাকি। আশা করি আমাদের সাইট থেকে প্রায় সকল ধরনের জিনিসের দাম সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন।

View all posts by Foysal Ahmed →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *