
Bangladesh Petroleum Corporation (BPC) সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে অকটেন ও পেট্রোলের দাম প্রতি লিটার Tk6 কমানো হয়েছে, আর ডিজেলের দাম Tk1.25 কমেছে। এই নতুন দামগুলো 9 জুলাই 2025 রাত 12টা থেকে কার্যকর হয়েছে। এই মূল্য হ্রাসের কারণে সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও আর্থিক স্বস্তি পাবেন।
নতুন জ্বালানির দাম এখন কত?
This Article Includes
নতুন দামে এখন আপনি প্রতি লিটার অকটেন কিনতে পারবেন Tk130, পেট্রোল Tk126, এবং ডিজেল Tk107.75 টাকায়। আগে অকটেন ছিল Tk136, পেট্রোল Tk132 এবং ডিজেল Tk109 ছিল।
ফুয়েল টাইপ | আগের দাম (Tk/Litre) | নতুন দাম (Tk/Litre) | হ্রাস |
---|---|---|---|
অকটেন | Tk136 | Tk130 | Tk6 |
পেট্রোল | Tk132 | Tk126 | Tk6 |
ডিজেল | Tk109 | Tk107.75 | Tk1.25 |
কেন কমলো জ্বালানির দাম?
Energy and Mineral Resources Division জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামে পরিবর্তন হওয়ায় দেশেও দাম সমন্বয় করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার প্রতি মাসেই বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিল রেখে জ্বালানির দাম নির্ধারণ করে।
আগে প্রতি তিন মাসে একবার দাম ঠিক করা হতো, কিন্তু এখন প্রতি মাসে একবার মূল্য হালনাগাদ করা হচ্ছে। এর ফলে গ্রাহকরা দ্রুত পরিবর্তন অনুভব করতে পারছেন।
সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া – কিছুটা হলেও স্বস্তি
অনেকেই বলছেন, জ্বালানি মূল্যের এই হ্রাস সামান্য হলেও কাজে লাগবে, কারণ ট্রান্সপোর্ট খরচ কিছুটা কমবে। একজন মোটরবাইক চালক বলেন,
“প্রতি সপ্তাহে আমি প্রায় Tk1,000 এর পেট্রোল ব্যবহার করি। এখন প্রতি লিটারে Tk6 কমে গেলে মাসে মোটামুটি Tk200-250 বাঁচবে। এটা ছোট বিষয় হলেও কাজে লাগবে।”
গণপরিবহন খরচ কি কমবে?
এখানে একটা বড় প্রশ্ন আসছে – এই দাম কমার ফলে বাস, সিএনজি বা ট্রাকের ভাড়ায় কোনও পরিবর্তন আসবে কিনা?
পরিবহন মালিকদের অনেকেই বলেন, ডিজেলের দাম কমলেও সেটা খুব সামান্য। তাই এখনই ভাড়া কমানোর কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে যদি ধারাবাহিকভাবে তেলের দাম কমতে থাকে, তাহলে তারা বিষয়টি বিবেচনা করবেন।
ব্যবসায়ী ও কৃষকদের ওপর প্রভাব
ডিজেলের দাম কৃষি ও ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ইঞ্জিনচালিত সেচ মেশিন, ট্রাক ও নৌকার জন্য ডিজেলই প্রধান জ্বালানি। ডিজেলের Tk1.25 কমায় খরচ কিছুটা কমবে, যদিও বড় প্রভাব পড়বে না। তবে যারা ছোট ব্যবসা করেন বা সেচ মেশিন চালান, তাদের জন্য এটি কিছুটা সাশ্রয় বয়ে আনবে।
সরকারের বক্তব্য
Petroleum Division জানিয়েছে, এই মূল্য হ্রাস সরকারি সাবসিডি ছাড়াই করা হয়েছে। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বচ্ছভাবে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। Energy Secretary বলেন,
“আমরা চাই না জনগণ বেশি দাম দিক। তাই নিয়মিত মূল্য আপডেট করছি যেন সঠিক ও ন্যায্য দাম বজায় থাকে।”
ভবিষ্যতে দাম আরও কমবে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম আরও কমে, তাহলে বাংলাদেশেও আরও মূল্য হ্রাস হতে পারে। তবে অনেক কিছুই নির্ভর করছে ডলার রেট, আমদানি খরচ ও সরকারের নীতির উপর।
উপসংহার – ছোট কমতি, কিন্তু বড় বার্তা
এই ছোট দাম হ্রাস সাধারণ মানুষের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তি নিয়ে এসেছে। যদিও ডিজেলের কমতি তুলনামূলকভাবে কম, তবুও এই উদ্যোগ দেখায় যে সরকার জনগণের কথা ভাবছে। ভবিষ্যতে যদি এ ধরণের স্বচ্ছ দাম সমন্বয় নিয়মিতভাবে চালু থাকে, তাহলে দেশের আর্থিক চাপ কিছুটা হলেও কমানো যাবে।