
বর্তমানে ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে পেট্রোলের দামে বিশাল ফারাক দেখা যাচ্ছে। পাকিস্তানে লিটারপ্রতি পেট্রোলের দাম ৮০ টাকা, বাংলাদেশে ৮৫ টাকা, কিন্তু ভারতে সেটা অনেক জায়গায় ১০০ টাকার ওপরে। এই তফাৎ কেন, আর এর প্রভাব কীভাবে পড়ছে সাধারণ মানুষের উপর—এই প্রশ্ন এখন অনেকের মনে।
Tax Structure ই Main Reason Behind India’s High Petrol Price
This Article Includes
- 1 Tax Structure ই Main Reason Behind India’s High Petrol Price
- 2 International Market Down, But India তে Fuel Cheap হচ্ছে না কেন?
- 3 Price Increase এর Real Impact – Middle Class Pocket এর উপর চাপ
- 4 Can GST Fix This Fuel Price Problem?
- 5 Alternative Solutions – Electric Vehicle ও Public Transport এর দিকে ঝুঁকছে মানুষ
- 6 What People Want – সামান্য নয়, বড় পরিবর্তন প্রয়োজন
- 7 Final Thought – India Shouldn’t Pay More Than Neighbours
ভারতে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়ার প্রধান কারণ হলো কর (Tax)। প্রতি লিটার পেট্রোলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মিলে প্রায় ৪৫–৫০ শতাংশ পর্যন্ত ট্যাক্স বসে। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলেও, সেই সুবিধা গ্রাহকরা পান না।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে সরকার পেট্রোলের ওপর ভর্তুকি দেয় বা কম ট্যাক্স নেয়, যার ফলে তারা কম দামে পেট্রোল দিতে পারে। অথচ ভারতে পেট্রোল-ডিজেল এখনও GST-এর আওতায় আনা হয়নি, যার ফলে রাজ্যভেদে আলাদা আলাদা কর বসে।
International Market Down, But India তে Fuel Cheap হচ্ছে না কেন?
গত কিছু মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম অনেকটাই কমেছে। তবে ভারতের বাজারে এর তেমন প্রভাব নেই। কারণ সরকার কর কমায়নি। অনেক সময় সরকার আন্তর্জাতিক দাম কমে গেলেও নিজেদের রেভিনিউ ধরে রাখতে চায়, তাই কর বাড়িয়ে বা একই রাখে।
ফলে সাধারণ মানুষ পেট্রোলের বাড়তি দাম গুনছে, অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে তেল সস্তা হচ্ছে—এই দ্বন্দ্বটা থেকেই যাচ্ছে।
Price Increase এর Real Impact – Middle Class Pocket এর উপর চাপ
পেট্রোলের দাম বাড়ার সরাসরি প্রভাব পড়ে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষের উপর। কারণ পেট্রোল শুধু গাড়ির জন্য নয়, গোটা অর্থনীতির সাথেও জড়িত। পরিবহন খরচ বাড়লে খাদ্যদ্রব্য, ওষুধ, জামাকাপড়—সব কিছুর দাম বাড়ে।
ফলে পরিবার চালানো কঠিন হয়ে যায়। যারা অফিস বা পড়াশোনার জন্য নিয়মিত যাতায়াত করে, তাদের মাসিক খরচ চোখে পড়ার মতো বেড়ে যায়।
Can GST Fix This Fuel Price Problem?
অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, যদি পেট্রোল ও ডিজেলকে GST-এর আওতায় আনা হয়, তাহলে দামের ওপর কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আসতে পারে। তখন কেন্দ্র ও রাজ্য মিলে একটি নির্দিষ্ট হারে কর বসাবে এবং ভোক্তারা কিছুটা স্বস্তি পাবে।
তবে সরকার এখনও এই সিদ্ধান্ত নেয়নি। কারণ পেট্রোল-ডিজেলের উপর থেকে সরকার প্রচুর রেভিনিউ পায়, যা বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যয় করা হয়। এই আয় হঠাৎ কমলে সরকারের ব্যয়ের ভার সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে।
Alternative Solutions – Electric Vehicle ও Public Transport এর দিকে ঝুঁকছে মানুষ
এই পরিস্থিতিতে অনেকেই বিকল্প উপায় খুঁজছে। কেউ ইলেকট্রিক বাইক বা গাড়ি কিনছেন, কেউ আবার পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করছেন খরচ কমাতে। অনেকে বাইক শেয়ারিং বা কারপুলের মতো নতুন সিস্টেমও ট্রাই করছেন।
তবে এই পরিবর্তন রাতারাতি সম্ভব নয়। কারণ এখনও অনেক জায়গায় ইলেকট্রিক ভেহিকলের চার্জিং স্টেশন নেই, আর পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সব জায়গায় ঠিকভাবে কাজ করে না।
What People Want – সামান্য নয়, বড় পরিবর্তন প্রয়োজন
মানুষ এখন আর ছোটখাটো পরিবর্তনে খুশি নয়। সবাই চায় সরকার এমন কিছু নীতি তৈরি করুক, যাতে পেট্রোলের দাম সহনীয় হয়। কারণ এটা কেবল গাড়ির দাম নয়, এটা জীবনের সমস্ত দিককে প্রভাবিত করে।
সরকারের উচিত হবে জনগণের কথা শোনা, এবং ভবিষ্যতের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পলিসি তৈরি করা—যেখানে কর কমানো, বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার, এবং আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দাম নির্ধারণ সবই থাকবে।
Final Thought – India Shouldn’t Pay More Than Neighbours
ভারতের মতো বিশাল অর্থনীতির দেশে যখন পেট্রোলের দাম ১০০ টাকার ওপরে, আর পাশের দেশগুলোতে সেটা ৮০-৮৫ টাকার মধ্যে, তখন এই প্রশ্ন খুব স্বাভাবিক—“আমরা বেশি কেন দেব?”
এই প্রশ্নের উত্তর চাইলেও সরকার এখনই দিতে চায় না। তবে আশা করা যায়, জনগণের চাপ বাড়লে এবং বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বাড়লে, সামনে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হবেই।